, নিউজ ডেস্ক নিউজ লাইন 71 বিডি
‘করোনা’ মহামারী বা অতিমারী কালে সারাদেশের আপামর জনতার কষ্ট ও দুর্ভোগজনিত ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তা থেকে মুক্ত নয় সাধারণ আইনজীবী সমাজ।
তবে নিজেদের ও পরিবারের জীবন-জীবিকার কষ্টের কথা বলতে না পারা কর্মহীন আইনজীবীগণের ন্যায়সঙ্গত প্রতিকার প্রতাশা ছিল যে, সরকারি অনুদান বা প্রণোদনা ব্যতিরেকেই সম্মানিত বার কাউন্সিল নেতৃবৃন্দ এবং তাঁদের কোটিপতি সতীর্থ সিনিয়র আইনজীগণের নিজেদের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে অর্থ সংগ্রহ করাসহ বিভিন্ন সোর্স থেকে তহবিল সৃষ্টির মাধ্যমে সারাদেশের আইনজীবীদেরকে তিন মাসের আপৎকালীন সম্মানজনক আর্থিক সহায়তা প্রদান করবেন। কিন্তু তা হয়নি। অনেক বিলম্বে তাঁরা নাটোর বারে ৩২০ জন আইনজীবীর জন্য সাকুল্যে মাত্র ৩,২১,০০০/= টাকা যে অনুদান পাঠিয়েছেন তা ভাগ্যের নির্মম পরিহাস ছাড়া আর কিছু নয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, নাটোর জেলা বারসহ বিভিন্ন জেলা বার নেতৃত্বের পক্ষ থেকে বর্ণিত আপৎকালীন সময়ের শুরুর দিকেই নিজস্ব উদ্যোগে তাঁরা আইনজীবীদের জন্য এক বৎসরের সুদমুক্ত ঋণ সহায়তার পাশাপাশি সাধ্যমত ত্রাণ সহায়তা প্রদান করেছেন। তাঁরা তা করতে পারলে প্রথিতযশা বার কাউন্সিল নেতৃত্ব যাঁরা জাতীয় পর্যায়ের ভাবমূর্তি সম্পন্ন কোটিপতি ব্যক্তিত্ব, পারলেন না কেন?
সবচেয়ে পরিতাপের বিষয় হলো, গতকালের “দৈনিক আমাদের সময়” পত্রিকা সূত্রে জানা যায়, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে আপাতত ১,৫০০ সাংবাদিককে এককালীন ১০,০০০/= টাকা করে দেয়ার কথা বলেছেন মাননীয় তথ্যমন্ত্রী মহোদয়।
তাহলে আইনজীবী কল্যাণ ট্রাস্ট গঠনের দীর্ঘদিনের ন্যায্য দাবি আদায় হলো না বা হবে না কেন?
এছাড়া আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ জরুরি বিষয় হলো, আইনজীবীদের সকলের জন্য স্বাস্থ্য বীমা বা হেলথ্ কার্ড প্রদান করা অত্যাবশ্যক।
অথচ বার কাউন্সিল নেতৃবৃন্দের কি এ বিষয়ে কোনই দায় নেই? যদি দায় থেকে থাকে, তাহলে যথাযথ দায় পুরণে বা পালনে ব্যর্থতার দায় কাঁধে নিয়ে তাঁদের কি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে চিরাচরিত গণতান্ত্রিক শিষ্টাচারের সংস্কৃতি সুদৃঢ় করার শুভ দৃষ্টান্ত স্থাপনের মাধ্যমে সরে যাওয়া উচিত বা কাম্য নয়?: