নিউজ ডেস্ক নিউজ লাইন 71 বিডি:
করোনার পুরোটা সময় জুড়ে নাটোর শহরের মানুষ এক মানবতার ফেরিওয়ালা আওয়ামী লীগ নেতার দেখা পেলেন। লকডাউনের শুরুতে নাটোর শহরে প্রথম ত্রাণ বিতরণ করা শুরু করেন তিনি। যা আজো অব্যাহত আছে। তিনি শহরের কর্মহীন অসহায়, দিনমজুর থেকে শুরু করে নানা পেশার মানুষকে খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন। এই মানবতার ফেরিওয়ালা আর কেউ নয়, তিনি ত্যাগি নিবেদিত প্রাণ প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম সৈয়দ মোতাহার আলীর সুযোগ্য সন্তান সৈয়দ মোর্তেজা আলী বাবলু। তিনি নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। বাবা নাটোরে আওয়ামী লীগের জন্মদাতাদের মধ্যে অন্যতম। আজীবন সৈয়দ মোতাহার হোসেন দল ও মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করেছেন। অমৃত্যু তিনি তিনি ছিলেন একজন জনসেবক । পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে সৈয়দ মোর্তেজা বাবলু করোনার সম্মুখ সমরের যোদ্ধার ভূমিকায় অবর্তীণ হয়েছেন। পুরো পরিবার নিয়ে নেমেছেন মানবতার সেবায়। নাটোরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে আর্ত মানবতার সেবায় অবিরাম ছুটে চলা এক মানবতার ফেরিওয়ালা সৈয়দ মোর্তেজা বাবলু। ব্যক্তিগতভাবে তিনি নাটোর শহরের ৯ টি ওয়ার্ডে করোনার শুরু থেকে খাদ্য সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া করোনা শুরু থেকে তিনি শহরের প্রতিটি মসজিদের ইমাম,মোয়াজ্জেম, খাদেম এবং প্রতিটি মন্দিরের ঠাকুর, সেবায়তদের খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন। এছাড়া রিকশা ওয়ালা, কুলি,মজুর,দর্জি, পরিবহণ শ্রমিক,হোটেল শ্রমিক,চা দোকানী,ইলেকট্রিশিয়ান, সংবাদপত্রের হকার সহ প্রতিটি শ্রেনী পেশার মানুষকে তিনি অকাতরে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন। এছাড়া জাতির শ্রেষ্ট সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের নানা উপহার দিয়ে সহায়তা করেছেন। প্রতিবন্ধী,শিশু,বয়োবৃদ্ধদের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে প্রশংসিত হয়েছেন। শহরের ৯টি ওয়ার্ডের কয়েক দফা তিনি খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন। শবেবরাতের আগে দিয়েছেন আটা,ময়দা,সুজি চিনি,বুটেল ডাল, তেল, চাল। রোজার আগে দিয়েছেন ইফতার সামগ্রী। ঈদের আগে উপহার হিসেবে দিয়েছেল খাদ্য সামগ্রী।। এছাড়া গোপনে গোপনে অনেকের বাসায় খাদ্য সামগ্রী পৌচ্ছে দিয়েছেন।
গণমাধ্যমকর্মী সাব্বির হোসেন জানান, সৈয়দ মোর্তেজা আলী বাবলু যেভাবে করোনা শুরু থেকে খাদ্য সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন তা সত্যিই প্রশাংসার দাবী রাখে। নাটোরের সাংসদ শফিকুল ইসলাম শিমুল এর পরে ব্যক্তিগত উদ্যোগে সবচেয়ে বেশি সাহায্য সহযোগিতা করেছেন তিনি। করোনা শুরুতে ৪ নং ওয়ার্ড থেকে তিনি খাদ্য সহায়তা দেয়া শুরু করেন যা আজোও অব্যাহত আছে।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ইমতিয়াজ আহম্মেদ বলেন, এই শহরে অনেকের টাকা আছে কিন্তু অসহায় মানুষকে সাহায্য করার মানসিকতা নেই। আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ বাবলু যেভাবে মানুষকে সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। তা দেখে আমার মনে হয়েছে তিনি প্রকৃত মানবতার ফেরিওয়ালা। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান বাবলু নাটোর শহরবাসী কাছে মানবিক আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। আমাদের সমাজে আজ বাবলু ভাইয়ের মতো নেতার খুবিই প্রয়োজন ।
আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ মোর্তেজা আলী বাবলু বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে করোনার শুরু থেকে নাটোরবাসীর খেদমত করে যাচ্ছি। নাটোর ২ আসনের সফল সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিমুলের নির্দেশনায় ও পরামর্শে ব্যক্তিগত ভাবে সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছি। যা করোনা সংকট শেষ না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে৷