নাটোর প্রতিনিধি – নিউজ ডেস্ক নিউজ লাইন 71 বিডি সংসদ সদস্য তো দূরের কথা, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের সঙ্গেই এদেশে মানুষের দূরত্ব যোজন যোজন। যিনি যখনই নির্বাচিত হন, ক্ষমতায় আসীন হয়েই ভুলে যান ভোটারদের অবদান। এটা নতুন নয়, নিত্য ঘটনা। দিন দিন তাই মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে নেতাদের কাছ থেকে।
অবশ্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার পর কর্মীবান্ধব নেতার দেখা মিলেছে ক’জন। বঙ্গবন্ধুর পর তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবশ্য বাবার আদর্শ লালন করে মানুষের কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করেন। যেখানেই যান তিনি কর্মী বা সাধারণ ভোটারকে বুকে আগলে রাখেন। এমন দৃষ্টান্ত অন্য নেতাদের মধ্যে খুব কম। একেবারে যে নেই তা নয় । করোনাকালে এমনই এক নেতার দেখে পেলেন লালপুর–বাগাতিপাড়ার মানুষ । একজন জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি হতে যতগুনাবলি প্রয়োজন সকল গুনাবলী তার মধ্যে দৃশ্যমান। আর তিনি হলেন শহিদুল ইসলাম বকুল । বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নাটোর জেলা শাখার সভাপতি থাকাবস্থায় তুখোড় ছাত্রনেতা সব সময় আলোচিত হয়েছেন মানুষের বিপদে পাশে থেকে। করোনার শুরু থেকে দীর্ঘ সাড়ে চার মাস ধরে তিনি আছেন নির্বাচনী এলাকায় ।নিজের উপর সরকারের দেয়া অর্পিত দায়িত্ব ক্লান্তিহীন ভাবে পালন করে চলছেন। আর সে জন্য নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সোনালী অর্জন শহিদুল ইসলাম বকুলের প্রশাংসায় ভাসনের লালপুর-বাগাতীপাড়া ।প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের বিস্তৃতি রোধে দেশজুড়ে লকডাউন ও হোম কোয়ারেন্টিন শুরু হলে তিনি তার ’ স্ত্রী ও সন্তানকে ঢাকায় রেখে ছুটে আসেন নির্বাচনী এলাকায়। সেই থেকে এলাকায় অবস্থান নিয়ে রাত-দিন একাকার করে তিনি ব্যক্তিগতভাবে ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে দু’উপজেলার কর্মহীন হয়ে পড়া প্রায় অর্ধলক্ষাধিক দরিদ্র মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিজ হাতে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পণ্য সামগ্রী পৌঁছে দেন।
নির্বাচনী এলাকায় মাস্ক ,লিফলেট,মাইকিং আর হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণে মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলেন না। পরিবার পরিজন কে ঢাকায় রেখে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দলমত নির্বিশেষে কর্মহীন ও অসচ্ছল মানুষের পাশে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে এসে দাঁড়িয়েছেন। এছাড়া শুরুতেই চালু করেছেন
এ হটলাইনে কেউ ফোন দিলে খাদ্য সামগ্রীর ব্যাগ নিয়ে বকুল এমপি পৌছে যাচ্ছে। একজন সংসদ সদস্য হয়েও চাল, ডাল, আলু, তেল, লবন, সাবান সহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রীর বস্তা নিজের কাঁধে করে নির্বাচনী এলাকার হতদরিদ্রের বাড়ীতে বাড়ীতে পৌঁছে দিচ্ছেন।মানুষকে শুধু মানবিক সহায়তার হাত বাড়াননি। সরকারের ৩১ দফা মেনে চলার জন্য সকলকে সচেতনার লক্ষে গ্রাম-গঞ্জে ছুটে চলেছেন। দুটি উপজেলায় ব্যাপক খাদ্য সহায়তা এবং হটলাইনের মাধ্যমে খাদ্য সামগ্রী পৌছিয়ে দিয়ে মানুষের কাছে সত্যিকার ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’ নামেও পরিচিতি লাভ করেছেন।
জানা যায়, করোনা সংক্রমন রোধে প্রশাসনের পাশাপাশি দলীয়ভাবে বকুল এমপির নির্দেশনায় দলীয় নেতা-কর্মীরা নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম ও সহায়তা এখনো চালিয়ে যাচ্ছেন। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গরীব-দুঃখী মানুষ যেন না খেয়ে থাকে সেজন্য তাদের পাশে থেকে সহায়তা করার চেষ্টা করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। ভয়াবহ এ দুর্যোগ মোকাবেলায় সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার জন্য আহবান জানাচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা করোনা ভাইরাস এবং বন্যা মোকাবেলা করতে সক্ষম হবো।তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনেক দুস্থ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা করছেন। এর অংশ হিসাবে হতদরিদ্রের বাড়ীতে বাড়ীতে