আরিফা জেসমিন কণিকা
আমার প্রানের চলনবিল অধ্যুষিত সিংড়ার ৮০% এলাকা বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। সিংড়া পয়েন্টে আত্রাই নদীর পানি বিপদসীমার ৯০ সে. মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্রতিদিনই বাঁধ ভেঙ্গে, পাকা রাস্তা ভেঙ্গে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পানির চাপে পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হচ্ছে। ২০১৭ সালেও আমরা ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির মোকাবেলা করেছি। বন্যাদুর্গতদের কে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে তাদের জীবন রক্ষা এবং সরকারি ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এবারেও তা করা হয়েছে । বছরের পর বছর বন্যা পরিস্থিতির অবনতিতে জান মালের ব্যাপক ক্ষতি হয়। জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারনে আগাম ও দীর্ঘস্থায়ী বন্যার প্রবণতা বেড়ে গেছে। এছাড়া মানুষের অসচেতনতা এবং পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করার কারনে পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হচ্ছে। এমতাবস্থায় নদী, খাল, জলাশয়ের পানি প্রবাহের স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনতে হবে। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগ মোকাবেলা করার জন্য পর্যাপ্ত পরিকল্পনা গ্রহণ করা প্রয়োজন। এবারের বন্যার পানির উচ্চতা অনুযায়ী রাস্তা, বাঁধ, শহররক্ষা বাঁধ আরও উঁচু করা প্রয়োজন। ড্রেন দিয়ে নদীর পানি যেন পৌর শহরে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য পৌরশহরের রাস্তাগুলো আরও উঁচু করা প্রয়োজন। সবার আগে প্রয়োজন মানুষের সচেতনতা। যেখানে সেখানে প্লাস্টিক বোতল, পলিথিন, ডাবের খোসা না ফেলা। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই কেবল এই দুর্যোগ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
লেখক -তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও নাটোর -৩ আসনের সংসদ সদস্য জুনাইদ আহম্মেদ পলকের সহধর্মিণী আরিফা জাহান কণিকার ফেসবুক টাইম লাইন থেকে নেয়া