নিউজ ডেস্ক নিউজ লাইন 71 বিডি
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় ১৪টি অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। কিন্তু এর মধ্যে তিনটি হাট ইজারা নিতে কেউ দরপত্র জমা দেয়নি। এছাড়া আরও দুটিতে সরকারি দরের চেয়ে কম মূল্যে দরপত্র জমা পড়েছে। এ কারণে এই পাঁচটি হাটে ফের টেন্ডার হতে পারে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
গতকাল সোমবার (২৯ জুন) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মিলনায়তনে দরপত্রগুলো খোলেন ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন।
সেখানে দেখা যায়, ১৪টি হাটের মধ্যে ধূপখোলা মাঠ সংলগ্ন খালি জায়গায় নির্ধারিত অস্থায়ী পশুর হাটে, শ্যামপুর বালুর মাঠ এবং দনিয়া কলেজ মাঠ সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গার অস্থায়ী হাটের জন্য কোনো দরপত্র জমা পড়েনি।
ধূপখোলা মাঠ সংলগ্ন খালি জায়গার অস্থায়ী হাটের জন্য সরকারি দর ছিল ৪৬ লাখ ৮১ হাজার ৩৩৪ টাকা, দনিয়া কলেজ মাঠ সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গার জন্য সরকারি দর ছিল এক কোটি ৫৪ লাখ ৪০ হাজার ৬৬৭ টাকা এবং শ্যামপুর বালুর মাঠ সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গার অস্থায়ী হাটের জন্য সরকারি দর ছিল এক কোটি দুই লাখ ১১ হাজার ৩৩৫ টাকা। কিন্তু এই তিনটি হাটের জন্য কোনো দরপত্র জমা পড়েনি।
এদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটির অস্থায়ী দুটি কোরবানির পশুর হাটে সরকারি দরের চেয়ে কম মূল্যে দরপত্র জমা পড়েছে। এই দুটি হচ্ছে মেরাদিয়া বাজার ও আরমানিটোলা মাঠ সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গার অস্থায়ী পশুর হাট।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মেরাদিয়া বাজার সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গার হাটের সর্বোচ্চ দর উঠেছে ৯০ লাখ তিন হাজার টাকা। তবে সরকারি দর ছিল এক কোটি ৯ লাখ ৩৯ হাজার ৮০০ টাকা। অন্যদিকে আরমানিটোলা মাঠ সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গার অস্থায়ী হাটের সর্বোচ্চ দর উঠেছে এক কোটি ১৫ লাখ টাকা। যার সরকারি দর ছিল এক কোটি ৬৫ লাখ ২৮ হাজার ৫৪ টাকা।