সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট উত্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বাজেটে বেশকিছু পণ্যের শুল্ক ও কর হার বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন তিনি। এর বেশিরভাগই অবশ্য বিলাসজাতীয় পণ্য। দেশীয় শিল্পকে প্রাধান্য দিতে গিয়েও কিছু কিছু ক্ষেত্রে পণ্য আমদানিতে বাড়তি শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এসব পণ্যের দাম বাড়বে।
বৃহস্পতিবার ( ১১ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতা পাঠ করে অর্থমন্ত্রী। এবারের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা।
বাজেটে প্রস্তাবনা অনুযায়ী, বর্তমানে আসবাবপত্রের কারখানা পর্যায়ে সাড়ে ৭ শতাংশ এবং বিপণন পর্যায়ে ৫ শতাংশ মূসক (মূল্য সংযোজন কর) বিদ্যমান রয়েছে। উভয়ক্ষেত্রে সমতা বিধান করতে আসবাবপত্রের বিপণন কেন্দ্রের ওপর ৫ শতাংশ থেকে মূসক বাড়িয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ প্রস্তাব করা হয়েছে। এই প্রস্তাবনা পাস হলে আসবাবপত্রের দাম বাড়বে।
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত লঞ্চ সার্ভিসের ক্ষেত্রে মূসক ৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। কার ও জিপের রেজিস্ট্রেশনসহ দু’টি বাহনের ক্ষেত্রে বিআরটিএ’র অন্যান্য সার্ভিস ফি-এর ওপর সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। চাটার্ড বিমান ও হেলিকপ্টার ভাড়ার ওপর সম্পূরক শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ প্রস্তাব করা হয়েছে।
মধুর বাল্কের ওপর আরোপিত ছিল ১৫ শতাংশ শুল্ক, তা বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ প্রস্তাব করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ১৫ শতাংশ ভ্যাটও আরোপ করা হয়েছে। ফলে আমদানি করা মধুর দাম বাড়বে। আমদানি করা পেঁয়াজেও শুল্ক বাড়ছে। এছাড়া পেরেক, স্ক্রু ও ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশ আমদানির ওপর শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।