বর্তমান করোনা মহামারিকে একটি বড় ‘যুদ্ধ পরিস্থিতি’ উল্লেখ করে মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রবাসী শ্রমিকদের দুর্দশা লাঘবে সচেষ্ট থাকার জন্য বাংলাদেশের বৈদেশিক মিশন-প্রধানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন।
আজ বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রাচ্যের ৯টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও মিশনপ্রধানদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে এ আহ্বান জানান মন্ত্রী।
এ সময় ড. মোমেন প্রবাসী শ্রমিকদের ‘রেমিট্যান্স-যোদ্ধা’ উল্লেখ করে তাদের সবাই যেন খাবার পায়, কারো যেন খাবারের অভাব না থাকে সেটা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রদূতদের সচেষ্ট থাকতে নির্দেশনা দেন।
‘বাংলাদেশের কৃষি-শ্রমিকরা অত্যন্ত দক্ষ‘ উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই শ্রমিকদের জন্য কৃষি উৎপাদন, মৎস্য চাষসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিকল্প শ্রমবাজার অনুসন্ধানে রাষ্ট্রদূতদের সক্রিয় থাকার নির্দেশনা দেন। করোনা পরবর্তী সময়ে পৃথিবীর খাদ্য চাহিদা পূরণে মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কৃষিকাজে বাংলাদেশের শ্রমিকরা অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দিতে পারবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রবাসী শ্রমিকরা বিভিন্ন দেশের উন্নয়নে সরাসরি ভূমিকা রাখে। কেউ যেন হঠাৎ চাকরিচ্যুত না হয় এবং চাকরিচ্যুত হলে যেন ছয় মাসের বেতন ও অন্যান্য ভাতা পায় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে রাষ্ট্রদূতদের যোগাযোগ অব্যাহত রাখতে অনুরোধ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কোয়ারেন্টিন সুবিধা নিশ্চিত করতে প্রবাসীদের কেউ দেশে ফিরতে চাইলে তাদেরকে ধাপে ধাপে দেশে ফেরত আনা হবে।’
ড. মোমেন সব বৈদেশিক মিশনকে আরো আন্তরিকতার সঙ্গে কনস্যুলার সেবা প্রদান করতে আহ্বান জানান। মিশনসমূহে বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন করা হয়েছে বলে এ সময় রাষ্ট্রদূতেরা অবহিত করেন।
কাতার, কুয়েত, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, লেবানন, ওমান, ইরাক ও জর্ডানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও মিশনপ্রধানরা এ ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন।
ভিডিও কনফারেন্সে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এবং পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন সংযুক্ত ছিলেন।