একরাতে সাতটি বাল্যবিয়ে ব্ন্ধ করে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছেন সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনিসুর রহমান।
গতকাল শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বেলকুচি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে এসব বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়।
এ সময় বর-কনের অভিভাবকদের কাছ থেকে মোট ৭০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলা ইউএনও এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিসুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বিকেলে উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের কদমতলী গ্রামে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী (১৩), ধুকুরিয়া বেড়া ইউনিয়নের চর মিটুয়ানী গ্রামে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী (১২), সন্ধ্যায় পৌর এলাকার চালা সাতরাস্তা মহল্লার একাদশ শ্রেণির ছাত্রী (১৭), রাত ৮টায় ভাংগাবাড়ী ইউনিয়নের সেনভাংগাবাড়ী গ্রামে নবম শ্রেণির ছাত্রী (১৪), রাত ৯টায় দৌলতপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর পেস্তক পাড়া গ্রামে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী (১৩), রাত ১০টায় দৌলতপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী (১৩) ও রাত সাড়ে ১১টায় পৌরসভার চালা অফিসপাড়া এলাকায় ১০ম শ্রেণির ছাত্রীর (১৫) বিয়ে বন্ধ করা হয়। সাতটি বিয়ের কনেই ছিল অপ্রাপ্তবয়স্ক। এসব বাল্যবিয়ের আয়োজন করায় বর-কনের অভিভাবকদের কাছ থেকে মোট ৭০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে দেবেন না মর্মে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে।
এর আগে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) দায়িত্বে থাকা অবস্থায় আরও দুইবার একরাতে সাত বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছিলেন।
তিনি সিরাজগঞ্জ সদর ও চৌহালীতে একই পদে কর্মকালীন প্রায় দুই শতাধিক বাল্যবিয়ে বন্ধ করে রেকর্ড গড়েছেন।